তারেক রহমান আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সুইজারল্যান্ড জেনেভা বিমানবন্দরে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান তিনি।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, গতকাল ফ্রান্সে যাওয়ার পথে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সাথে কতিপয় আওয়ামী দুস্কৃতিকারীর উদ্ধত আচরণ করে। বিদেশের মাটিতে দেশের একজন উপদেষ্টার সাথে এই আচরণ শুধু শিষ্টাচার বর্হিভূত ও অনভিপ্রেতই নয় বরং দেশ ও জনগণের আত্মমর্যাদার ওপর প্রচন্ড আঘাত। ফ্যাসিবাদের হিংস্র রুপের প্রকাশ এখনও দেশে-বিদেশের অনেক স্থানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রবাসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সুযোগ পেলেই গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। ড. আসিফ নজরুলের ওপর ফ্যাসিস্ট দোসরদের এই অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আইন উপদেষ্টার সাথে তাদের উশৃঙ্খল আচরণে আবারও প্রমাণিত হলো যে তারা হত্যা ও গুমের রাজনীতির বিশ্বাস থেকে সরে আসেনি। এরা গণতন্ত্র স্বীকৃত মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ ও জনগণের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। গণতন্ত্রের সাথে শত্রুতা আওয়ামী লীগের চিরদিনের বৈশিষ্ট্য। ড. আসিফ নজরুলের সাথে অশোভন আচরণ শেখ হাসিনার তৈরি করা দু:শাসনেরই অভিব্যক্তি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের রাজনীতিকে জটিল করে তুলতে সব চেষ্টা চালাচ্ছেন উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা বিদেশে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। গণতন্ত্রের স্বপক্ষের ব্যক্তিবর্গকে হেনস্থা করাসহ দেশের ভেতরেও অন্তর্ঘাত সৃষ্টির গভীর চক্রান্ত করছে। এরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনা বলেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেছে নেয়। মানবতাবিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী দোসরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সুইজারল্যান্ডে আওয়ামী লীগের কর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন। সামাজিকমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একদল আওয়ামী লীগের সমর্থক আসিফ নজরুলকে ঘিরে ধরেছেন। তার সঙ্গে উত্তেজিত ভাষায় তর্ক করছেন। বারবার প্রশ্ন করছেন, ‘আপনি মিথ্যা বলেছেন।’
ভিডিওতে শোনা যায়– আসিফ নজরুল বলছেন, ‘আপনি গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?’ এ সময় হেনস্তাকারীদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।